চন্দনের উপকারিতা ও গুনাগুণের কোন অংশে কমতি নেই। চন্দন একটি সুগন্ধি গাছের নাম। এটি সবচাইতে বেশি পাওয়া যায় ভারতে এছাড়াও দক্ষিণ এশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়াসহ অন্যান্য দেশেও এই সুগন্ধি গাছ পাওয়া যায়। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার ক্ষেত্রেও চন্দন বহুল ব্যবহৃত হয়। চন্দনের আছে হাজারো গুনাগুন। রূপ চর্চার জন্য চন্দনের খ্যাতি যুগ যুগ ধরে। প্রাচীন কালে রূপ চর্চার অন্যতম একটি উপাদান ছিলো চন্দন। বিভিন্ন রকম কসমেটিক্স ও সুগন্ধীতে চন্দন ব্যবহৃত হয়। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় চন্দন বেশ উপকারী। এতে আছে অ্যান্টিব্যকটেরিয়াল উপাদান যা ব্রণ ও ত্বকের অন্যান্য সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

ব্রণ কমাতে চন্দনঃ ব্রণ হওয়ার প্রধান কারণ হলো তৈলাক্ত ত্বক এবং ত্বক এ ময়লা জমা।চন্দন আপনার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমাবে এবং আপনার ত্বক উজ্জ্বল করবে।প্রথমে আপনার প্রয়োজন হবে চন্দন গুঁড়ো এবং গোলাপ জল। ১ টেবিল চামচ চন্দন গুঁড়োর সাথে প্রয়োজন অনুযায়ী গোলাপ জল মিশিয়ে ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।এর পর একটা মশ্চারাইজার  ব্যবহার করা যেতে পারে।

রোদে পোড়া ভাব দূর করতে চন্দনঃ ত্বক রোদে পুড়ে যাওয়া নিয়ে অনেকেই সমস্যায় থাকেন। ত্বকের এক স্থানের স্কিন টোন এক এক রকম হয়ে যায় ।চন্দন দূর করবে আপনার এই সমস্যাও। শসার রস, চন্দনের গুঁড়ো, দই ও গোলাপ জল একসাথে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে রোদে পোড়া ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। এই ফেস প্যাক রোদে পোড়া ভাব কমাবে এবং রোদের পোড়ার কারণে ত্বক জ্বলা কমাবে।

গায়ের দূর্গন্ধ দূর করতে চন্দনঃ ঘামের সমস্যা আমাদের অনেকের আছে।আর এজন্য আমাদের শরীরে অনেক দূর্গন্ধ হয়ে থাকে।এই দূর্গন্ধের জন্য অনেক লজ্জার মধ্যেও পড়তে হয়।আর এই দূর্গন্ধের সমস্যার অনেক বড় সমাধান দিবে চন্দন।গোসলের সময় চন্দনের পেস্ট গায়ে লাগিয়ে কিছুক্ষন পর গায়ে পানি ঢেলে নিতে হবে।আবার গোসলের পানির সাথে চন্দনের তেল ব্যবহার করা যেতে পারে এতেও গায়ের থেকে খুব সুগন্ধ আসবে এবং ঘামের দুর্গন্ধের সমস্যার সমাধান হবে।